আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটির সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করার পর দেশটিতে এখন তুমুল গণবিক্ষোভ চলছে।
সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের আটকের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে জান্তা এখন দেশটির বিবদমান সংখ্যালঘুদের মন জয় করার চেষ্টা শুরু করেছে। তবে তাদের মধ্যে অবশ্য রোহিঙ্গারা নেই। খবর নিক্কেই এশিয়ার।
মিয়ানমারের বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে দশকের পর দশক ধরে সামরিক বাহিনীর দ্বন্দ্ব চলছে। সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা সরকারের কাছ থেকে আরো বেশি স্বায়ত্ত্ব শাসন আদায়ের দাবিতে রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। সামরিক বাহিনী চাইছে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চলমান গৃহযুদ্ধকে স্তিমিত করে নিজেদের বৈধতা প্রমাণ করতে।
সে ব্যাপারে পদক্ষেপ হিসেবে সামরিক অভ্যুত্থানের পর গঠিত দেশের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা দ্য স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল (স্যাক) সাধারণ ক্ষমার আওতায় কারাগারে আটক ২৩০০ কয়েদিকে মুক্ত করে দিয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে এদের মধ্যে রয়েছেন রাখাইন প্রদেশ থেকে নির্বাচিত নিম্মকক্ষের সাবেক সদস্য আয়ে মং।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি এক টিভি ভাষণে কমান্ডার ইন চিফ মিন অং হ্লায়িং বলেছেন, তাদের জন্য সবচেয়ে বড় কাজ হলো জাতিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা। তিনি বলেন, আমরা চাই, চলমান অশান্তি দূর করে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। তবে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিষয়ে আমরা সেরকম কিছু ভাবছি না। সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী হিসেবে গঠিত স্যাক-এর সদস্য মোট ১৮ জন। তার মধ্যে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর ৬ জন প্রতিনিধি রয়েছেন।
সু চির সরকারকে উৎখাতের পর জান্তা মিয়ানমারে যত শিগগির সম্ভব নির্বাচন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ এখনো জানানো হয়নি।
সূত্রঃ সমকাল