গিয়াস উদ্দিন ভুলু:
ঈদকে সামনে রেখে ইয়াবা পাচারকারিরা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মরণ নেশা ইয়াবা এখন পাচার হচ্ছে নৌ-পথে। এই পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত পাচার হয়ে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা ঢুকছে বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায়।
হঠাৎ করে ইদানিং টেকনাফের চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আবার সক্রিয় হয়ে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমার থেকে নিয়ে আসছে মরন নেশা লক্ষ লক্ষ ইয়াবা। এদিকে গত কয়েক দিন ধরে অপরাধীদেরকে ধরতে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের যৌথ ভাবে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। অথচ সেই সাঁড়াশি অভিযানকেও তোয়াক্কা না করে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের পাচার কাজ অব্যাহত রেখেছে। সীমান্ত প্রহরীর বিজিবির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আটক করছে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা।
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, ১৭ জুন ভোর ৫ টার দিকে সাবারাং ইউনিয়নের মুন্ডাল ডেইল বিচ এলাকা থেকে মালিকবিহীন ২লক্ষ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে। তবে এই অভিযানে বিজিবি সদস্যরা পাচারকারিদের আটক করতে সক্ষম হয়নি।
অপর দিকে বিজিবি সদস্যদের আরেকটি দল টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার ইয়াবা সহ সাবরাং এলাকার আবদুল করিম নামে এক পাচারকারিকে আটক করে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৭ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল আবু জার আল জাহিদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন , আমাদের বিজিবি সদস্যদের পৃথক অভিযানে ২ লক্ষ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ও আবদুল করিম নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।
তিনি আরো বলেন, দশ হাজার ইয়াবাসহ আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করে থানায় সোর্পদ করা হয়েছে এবং মালিকবীহিন ২ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবাগুলো বিজিবি সদর দপ্তরে জমা রাখা হয়েছে যা পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে ধ্বংস করা হবে।