জন কেরির বাংলাদেশ সফর
রতনজ্যোতি ভিক্ষু:
বঙ্গবন্ধু ছড়িয়ে যাবে সারা পৃথিবীতে ক্রমাগত
যেমন ছুঁয়ে গেলো আজ আপনার কঠিন হৃদয়ের ভেতরে থাকা
নরম মানবিক হৃদয়টুকু।
গুণী মানুষ পৃথিবীর সম্পদ
'বঙ্গবন্ধু' সুমধুর আজানের আওয়াজ,
শুভ্র শঙ্খধ্বনি, সশ্রদ্ধ বুদ্ধ বন্দনা
আর গির্জার প্রার্থনাময়
ধ্বনির দেশের মানুষ।
কবিতার দেশের মানুষ তিনি
অতিথি...
রুবেল সরকারের কবিতা
ঘাতক দর্জিঘর (শহিদ রাসেল কে)
শোকের অ্যাশট্রে ভেঙে, ঘুমসিঁড়ি বেয়ে-- কী নিদারুণ
গড়িয়ে যায় খয়েরি পালক!
জোড়ায় জোড়ায় গড়ায় স্মৃতির মার্বেল--- এত ক্রূর বুলেট!
মায়ের আঁচল থেকে কেড়ে নেয় মা... . অজস্র চন্দ্রমল্লিকা
'রাসেল' 'রাসেল'- ব'লে ঝ'রে পড়ে...
প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর কবিতা
স্বাধীনতা কারে বলে?
এখনও কেউ সত্য বললে
তাকে গলা টিপে মারতে চায়
সত্য লিখলে হাতের কব্জি
কেটে নিতে উদ্যত হয়।
এ কেমন স্বাধীনতা ?
এখনও অনেকের নুন
আনতে পান্তা ফুরায়
হাসপাতালে দালালী
থানায় দালালী
আদালতে দালালী
শিক্ষালয়ে দালালী
সবখানে দালালের উৎপাত
এ কেমন স্বাধীনতা ?
এখনও শিক্ষাঙ্গনে লাশ...
গুলশান ঝুমুরের কবিতা
এক.
মুদ্রা
আঙুলে চাষ করবো তন্ত্রমন্ত্র বৃক্ষ,
সে বৃক্ষের ইশারায় প্রাচীন মুদ্রারা
ছুটে আসবে বাতাসের মতো,
আকাশ ছোঁয়া এক লাল প্রাসাদ বানাবো,
মন্ত্র বৃক্ষের ইশারায় নার্সিসাসের রুপে ধুয়ে নিব শরীর। তুমি ও সেদিন অনুগত সাপের মতো পায়ে কাছে কুন্ডলী পাকিয়ে...
শিপ্ত বড়ুয়ার কবিতা
মৃত্যু
আমাকে,তোদেরকে,তোমাদেরকে,আপনাদেরকে
মৃত্যুর স্পর্শগুলো চরম স্পর্ধা দেখালো।
ন্যানো সেকেন্ড মিনিট হয়ে উঠবে না,
শব্দ, বাক্যগুলো লাইন হয়ে আর আসবে না।
নেই নেই করা গল্পের আগেই আমি লাশ,
শত্রুর বুলেট অথবা ধারালো চাপাতির আঘাত।
সবার মোবাইল আর্তনাদধ্বনিতে বেজে উঠছে,
একে অপরকে জানাচ্ছে, আমার...
মানবতাই হউক আমাদের ধর্ম
তৌহিদুল ইসলাম রবিন:
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই
কেহ অবনী 'পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে
মোরা পরের তরে'।
কামিনী রায়ের লেখার মতো আসলেই কি
আমরা প্রত্যেকে পরের তরে? না, আসলে
মনুষ্যত্ব হারিয়ে যাচ্ছে সৃষ্টির সেরা
মানুষের মন থেকে; নিদারুণ নিষ্ঠুরতায়!
এখন...
লিটন বড়ুয়ার দু’টি কবিতা
মৃত্যু
মানুষের গর্ভে জন্ম নিয়ে
বুঝেছি কতখানি মৃত্যু বিলাসী আমি।
বিস্তৃত পৃথিবী জুড়ে
মৃত্যুর বিস্তৃত দুর্গ।
দুর্গম পাহাড়ের খাঁদে দাঁড়িয়ে
কোন প্রাণী টের পাই না
মৃত্যুর পূর্ব-পশ্চিম কিংবা উত্তর-দক্ষিণ ।
অথচ জল-পোঁকার মতন
আমি হেঁটে বেড়াই
মৃত্যু-নদীর জলে
অথচ নিঃসঙ্গ শৈবালের মতন
আমি ডুবে থাকি মৃত্যুর...
মানিক বৈরাগীর কবিতা
মাতোয়ারা শরতে
শারদ চাঁদ জোছনার পহরে আলোয় টলোমলো চারদিক
কাশবনের আডালে লুকিয়ায়েছিলেম
হই হই রবে মেঘ গুড়ুম গুড়ুম রব
সাদা ইলশা মেঘের কামার্ততায় আমরা
সবুজ ঘাসেই আমাদের বাসর গালিছা
গভির কামোষ্ণ অন্তহীন যুতসই রাত
মুখভর্তি যোনিরসে সাতার কাটছি হালদায়
পাড়ায় মাতম করছে...
নাসিম শোভনের দুইটি কবিতা
না ফেরার যাত্রী
ছোপ ছোপ রক্তের মাঝে নিয়তির নির্মমতা জড়িয়ে
প্রত্যেক ফোটা রক্তের বিন্দুতে
হাহাকারের লুকায়িত প্রতিচ্ছবি
কলমের কালি হতে আজ রক্তের ফোয়ারা
বৃষ্টির জলে রক্ত গড়িয়ে নর্দমায় স্রোতধারা।
পাষাণ হৃদয়ও গলে কুসুমিত
প্রাণহীন দেহ অপূর্ণতায় লোহিত
দিবালোকে চেনা পথে নেমে এলো...
সেঁজুতি বড়ুয়ার কবিতা
ল্যান্ডস্কেপ
পানিতে, মেঘের অবয়ব দেখলেই
বুঝতে পারি, বৃষ্টিরা মেঘের গুমটিঘরে
পানির ঘূর্ণিতে নামবে জলমগ্ন বর্ষা
দূরের আকাশে পাশাপাশি ছায়া পাহাড়ের
ছায়া নয়, হেমন্তের বিরতিকালীন অপেক্ষা
ট্রেন ছাড়লে দৃশ্য লুকাবে সূর্যাস্তের স্তুপে
বনবাদাড়—প্রকৃতির ঘন ঘোর অন্ধকারে
অন্ধকার নয়, লম্পট চাঁদ বিঁধে গেছে গাছে
বাবুইয়ের...