(উৎস্বর্গ-অগুনিত সকল শহীদ )
মানিক বৈরাগীঃ
সার্বজনিন আনন্দ উৎসবের
প্রাপ্তি অপ্রপ্তি, আন্দোলন সংগ্রামের।
একাত্তর,পচাত্তর, এরি পর
একুশ টি বছর ভয়ে নির্ভয়ে
মামলা হামলা রিমান্ড জেলে।
পথে প্রান্তরে অশ্লিল শিষ সয়ে
পুলিশের দৌড়ানি দাবড়ানি খেয়ে
মিছিলে শ্লোগানে,ঘরোয়া বৈঠকে।
জনসভায়,লাটি বল্লম বোমা খেয়ে
আত্মজ হারানোর বেদনায়
পথ পাড়ি সরবে গৌরবে
ভয়ে আতঙ্কে একা বহু জনে
মাজার মসজিদ মন্দির প্যাগোড়া
নামে বেনামে যখন যা লেবাসে
পিতার আদর্শকে বুকে ধরে
ভয়ে নির্ভয়ে স্বপ্ন মুখর পথে
শ্লোগানে মুখরিত করেছি রাজপথ।
সেই স্বপ্ন মুখর পথে আজ
শুধু মরিচিকা ইট পাথরে উন্নয়ন দেখি
ক্ষতস্থানে হাত বুলাই দীর্ঘ শ্বাসে
কি হবার কথা ছিল,করছি কি
মুক্তির চার মন্ত্র সংবিধানে আছে কি?
ধুধু সমুদ্র তটে বালুচিকার ঝিলিকে
বক্তিতার কাড়াকাড়ি ,প্রতিশ্রুতি শুনি
বিশ্রী তিতা লাগে মুখে ও শ্রবনে
তাহারা ভোট এলে ফটো তুলে বাহারি ডঙে
ক’জন পালিত সাংবাদিকএসে খবর ছাপে।
জামাতি কর্মী মারহাবা সোহবানাল্লাহ কোরাস করে।
রঙিন কালো মুজিব কোট পরে আসা
শুনায় ভুল বাল পিতা মুজিবের কথা
, চৌখস মুখভঙ্গি হাসির ঝিলিক দেখি
চলনে বলনে কিস্তি টুপিতে ম্যাকিয়া ভেলি।
অত:পর
আনন্দ বেদনার মহা কাব্যের জন্মদিন
মুজিবের রক্তের ঋণ আওয়ামীলীগ
উর্ঘুম প্রহরে।
ভোর ৫টা।