এম.এ আজিজ রাসেল:
অবশেষে অবসান হয়েছে নার্স সংকটের। এতে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে এসেছে স্বস্তি ও শৃঙ্খলা। পাশাপাশি সাধারণ রোগীরা পাবে কাঙ্খিত সেবা।
সাধারণ মানুষের দাবি ও সিভিল সার্জনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবার মোট ১৭৭ জন সুপার ভাইজার, সিনিয়র/জুনিয়র নার্স কক্সবাজারের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগকৃত নার্সরা গত ১৪ ডিসেম্বর স্ব স্ব কর্মস্থলে যোগদান করেছেন বলে জানা গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলায় নার্সের মোট মঞ্জুরীকৃত পদের সংখ্যা রয়েছে ৩৫৬ জন। তার বিপরীতে কর্মরত ছিল মাত্র ৮২ জন। আর শূণ্য ছিল পদ ছিল ৯৭ জন। বর্তমানে ১৭৭ জন নতুন নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নতুন নার্সদের গুরুত্ব বিবেচনা করে বন্টণ করা হয়েছে। তার মধ্যে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮২জন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সদর হাসপাতালে দেয়া হয়েছে ৫০ জন। এছাড়া চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন, টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন, উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮জন, পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন, কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন নার্স নতুন করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসে কমেক থেকে আলাদা অতিরিক্ত নার্স পাঠানো হবে।
এদিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। তাই এখানে নিয়োগকৃত ৮২ জন নার্স যোগ হবে সদর হাসপাতালে ৫০ জনের সাথে। নিয়োগের আগে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মরত নার্সের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৩ জন। অপ্রতুল নার্সের জন্য ব্যাহত হয়ে পড়েছিল নিয়মিত চিকিৎসা কার্যক্রম। তীব্র নার্স সংকটে চরম দুর্ভোগ পোহায় সাধারণ রোগীরা।
এছাড়া অন্যান্য উপজেলার চিত্রও ছিল ভয়াবহ। তার মধ্যে নতুন নার্স নিয়োগে জেলার চিকিৎসা সেবার জন্য মাইলফলক মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া সদর হাসপাতালে নতুন-পুরাতন মিলিয়ে মোট ১৭৫ জন নার্স কাজ করবে। এতে এখানে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবায় অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডাঃ পুঁচনু জানান, কক্সবাজার জেলার স্বাস্থ্য সেবাকে আরো আধুনিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ইতিমধ্যে আপ্রাণ প্রচেষ্টায় নার্স সংকট অনেকটা লাঘব হয়েছে। যা জেলাবাসীর জন্য অত্যন্ত সুখবর বটে। সকলের সহযোগিতা ও আন্তরিকতা পেলে সদর হাসপাতালে অচিরেই আরো ৫০টি কেবিন চালু করা হবে।
আইসিউকে আরো সক্রিয় করে ৪ জন নার্স এর পাশাপাশি আরো ১২/১৫ জন নার্স দেয়া হবে। কিডনি ও হার্ট রোগীদের জন্য হাসপাতালে নতুন ভাবে সংযোজন করা হবে সিসিইউ, করনারি কেয়ার ইউনিট ও নেপরোলজি ইউনিট। এতে চট্টগ্রাম-ঢাকায় গিয়ে হার্ট ও কিডনি রোগীদের দৌড়ঝাপ করতে হবে না। সকল সুযোগ-সুবিধা এখানে পাওয়া যাবে।